সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক থাকেন সৌদি আরবে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই শীর্ষে ছিল দেশটি। মাঝে কয়েক মাস সৌদি আরবকে টপকে শীর্ষস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত অর্থবছরের শেষ দুই মাসে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে। ফলে আবারও শীর্ষে চলে এসেছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুাযায়ী, সৌদি আরব থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বৈধ চ্যানেলে মোট ৩৭৭ কোটি ডলার সমপরিমাণ প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৩৫২ কোটি ডলার। এর মানে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ২৪ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
গত এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার দিক থেকে শীর্ষ দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে প্রায় ২৬ কোটি ডলার বা ৫৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শেষ দুই মাসে সৌদি আরব থেকে এভাবে না বাড়লে এবার যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে থাকত।
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত অর্থবছরে দেশটি থেকে এসেছে ৩০৩ কোটি ডলার। এর পর রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখান থেকে এসেছ ২০৮ কোটি ডলার। পঞ্চম অবস্থানে থাকা কুয়েত থেকে ১৫৬ কোটি ডলার এসেছে। এ ছাড়া কাতার থেকে ১৪৫, ইটালি থেকে ১১৯, মালয়েশিয়া থেকে ১১৩, ওমান থেকে ৭৯ এবং বাহরাইন থেকে ৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরে আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। এর মানে গত অর্থবছর রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৫৮ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে শেষ মাস জুনে এসেছে ২২০ কোটি ডলার। গত ৩৫ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। আর এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে অতিমারি করোনার মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভরা করোনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউনের কারণে বেশিরভাগের আয় কমলেও তখন হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামে। যে কারণে বৈধ চ্যানেল ছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোর বিকল্প ছিল না। ফলে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ওই সময়ে।