Ajker Digonto
শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০১৩ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

প্রতিবেদক
Staff Reporter
অক্টোবর ১৮, ২০১৩ ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

পোর্টাল বাংলাদেশ ডটকম ডেস্ক

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ২৬৬ দিনব্যাপী বা প্রায় ৯ মাস ব্যাপী বিস্তৃত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের অনেকগুলো আঙ্গিক ছিল। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক ছিল রণাঙ্গণ যেখানে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুন্নত অল্পসংখ্যক অস্ত্র নিয়ে উন্নত অস্ত্র সমৃদ্ধ, প্রতিষ্ঠিত সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করেছিল। হানাদার ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। প্রতিরক্ষা গড়ে তুলেছিল এদেশের জনগণ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ একদিনে আসেনি, দীর্ঘ প্রেক্ষাপটের শেষ প্রান্তে এই যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী ছিল। পোর্টাল বাংলাদেশ ডটকম এর মুক্তিযুদ্ধ পাতায়, প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কিছু না কিছু থাকবে। প্রথমদিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত কথা থাকবে। সেই সুবাদে, আজ মরহুম মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, যাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বলে ঐতিহাসিক পরিচয় দিতে আমরা আগ্রহী, সেই মওলানা ভাসানীর একটি ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে একটি ক্ষুদ্র অংশ আমরা এখানে একাধিক কিস্তিতে উদ্বৃত করবো। ২৫-২৬ জুলাই ১৯৫৭ তারিখে, নিলিখ পাকিস্তান গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী এই ভাষণ দিয়েছিলেন। এই ভাষণের পর্যালোচনা থেকে পাঠক বুঝতে পারবেন ঐ আমলের অতি জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কী চিন্তা করছিলেন। ভাষণ থেকে নেয়া উদ্বৃতির প্রথম কিস্তি।

“বন্ধুগণ!
দশ বছর পূর্বে আমরা পাকিস্তান অর্জন করিয়াছি। সংগ্রামের দিনগুলি ছিল আমাদের স্বপ্নে ও কল্পনায় ভরপুর। আমরা পাকিস্তানে এক সোনার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করিতে চাহিয়াছিলাম। আমরা কল্পনা করিয়াছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। আমরা স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম ত্যাগ ও সাধনার ঐশ্বর্য্যে মহিমান্বিত একটি জাগ্রত জাতি। সে জাতি বিশ্বে অধিকার করিবে এই গৌরবময় আসন।
কিন্তু দশ বছরের স্বপ্ন আমাদের ভাঙ্গিয়া চুরমার হইয়া গিয়াছে। দেশবাসীর কল্পনার সৌধ আজ বিধ্বস্ত। অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত ও দিকভ্রান্ত জাতি আজ পথের সন্ধান চায়, সন্ধান চায় মুক্তির।
সে পথ নির্দেশের পবিত্র দায়িত্ব আজ আপনাদের সকলের উপরে। সুদূর উত্তর পশ্চিম সীমান্ত হইতে শুরু করিয়া চট্টগ্রামের কক্সবাজার পর্যন্ত আমাদের দেশের সকল মানুষ আপনাদের উপর সে মহান দায়িত্ব অর্পণ করিয়াছে। দেশের আহ্বানে আপনারা সাড়া দিয়াছেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক জীবনধারাকে অক্ষুণœ রাখিবার জন্য আপনারা যে দৃঢ় সংকল্পের পরিচয় দিয়াছেন সেজন্য আবার আপনাদের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
বন্ধুগণ!
স্বাধীনতার মর্মকথা সকল দেশে ও সকল কালে প্রায় এক। সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণের অবসান, আর্থিক দুর্গতির নিরসন এবং মানুষের সংস্কৃতি ও মননশীলতার উন্নতি ও ব্যাপ্তিতেই স্বাধীনতার প্রাণকথা। মানুষের জীবন হইতে এই বস্তু দুইটিকে বাদ দিলে মানুষে-পশুতে ব্যবধান থাকে না। তাই মানুষ তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রেরণায় যুগে যুগে আত্মাহুতি দিয়াছে; নিজের জানমাল কোরবানী করিয়াছে। এমন একটি গুণে গুণান্বিত বলিয়াই বিশ্ব স্রষ্টা পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা মানুষকে বলিয়াছেন আশরাফুল মখলুকাত। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ সকল যুগেই নিজেদের ভোগ লালসা চরিতার্থ করার জন্য মানুষকে গোলাম বানাইয়া স্রষ্টার ‘আশরাফা’কে ‘আতরাফে’ পরিণত করিবার ষড়যন্ত্র করিয়াছে, কিন্তু এই অস্বাভাবিক বিভেদ মানুষ কোনো কালেও মানিয়া লয় নাই। এ জন্যই যুগে যুগে মানুষ করিয়াছে বিদ্রোহ। দেশে দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থান সেই বিদ্রোহেরই অপর নাম।
নিপীড়িত মানুষের ইজ্জত ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই তো সেদিন আমার রসুল আরব মরুভূমির বুকে আজীবন সংগ্রাম করিয়া গিয়াছেন। তাঁহার সংগ্রাম ছিল জালেম কোরেশদের বিরুদ্ধে। আরবের মানুষকে কৃতদাসে পরিণত করিয়া কোরেশরা জজিরাতুল আরবে নির্যাতন, নিপীড়ন ও দুর্নীতির এক বিভীষিকা কায়েম করে। রসুলুল্লাহ (সা.) এর আবির্ভাব না ঘটিলে সেখানকার ইতিহাস হয়তো মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় হইয়া থাকিত।
আরবের নিপীড়িত মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠা আজিও সম্ভবপর হয় নাই, সত্য কথা, কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রদর্শিত মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামও তাদের থামে নাই। দেশী ও বিদেশী জালেমদের সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে জাজিরাতুল আরবের মজলুম জনসাধারণ সংগ্রাম করিতেছে। তাদের পশ্চাতে আছে সারা পৃথিবীর মজলুম জনসাধারণের শুভেচ্ছা ও নৈতিক সমর্থন”। চলবে…

আজকের দিগন্তে সর্বশেষ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের
অচিরেই নির্বাচনি রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ: তারেক রহমান
প্রতিবন্ধীদের জন্য মর্যাদার পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি তারেকের
সরকার রাজনীতি ও বিরাজনীতির মাঝামাঝি অবস্থানে: রিজভী
কথা বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে
দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন
সেনা কর্মকর্তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা
ডাক মেরে ফিরলেন লিটন, বিপাকে বাংলাদেশ

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের

অচিরেই নির্বাচনি রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ: তারেক রহমান

প্রতিবন্ধীদের জন্য মর্যাদার পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি তারেকের

সরকার রাজনীতি ও বিরাজনীতির মাঝামাঝি অবস্থানে: রিজভী

কথা বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল

সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে

দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন

টিজারেই প্রসংশা কুড়াচ্ছে ঐশ্বরিয়ার ৫০০ কোটি রুপির সিনেমা

সিঙ্গাপুরে বসেই বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা!

বন্দরনগরীতে টহলে নেমেছে বিজিবি

বন্দরনগরীতে টহলে নেমেছে বিজিবি

জনির টাকা পরিশোধে মূল্যবান উপহার বিক্রি করতে হবে অ্যাম্বারকে!

কৃষকদের স্বার্থেই সরকার বেশি দামে ধান কিনছে: খাদ্যমন্ত্রী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ অক্টোবর ভর্তি আবেদনের শেষ সময়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ অক্টোবর ভর্তি আবেদনের শেষ সময়

জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাত

জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাত

পাকিস্তানে বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশের দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ

নিবন্ধন প্রত্যাশী ছিয়াত্তর দলের ৭৪টিই অযোগ্য: ইসি

চিন্ময়ের গ্রেফতারের বিষয়ে যা বললেন প্রেস সচিব