২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে। নতুন অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৫৫ কোটি টাকা, আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ৪৯৪ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে বরাদ্দ এক হাজার ৫০৮ কোটি টাকার মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।
হেলিকপ্টার সেবার ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে হেলিক্প্টার সেবা জনপ্রিয় হচ্ছে। উচ্চবিত্তের লোকজন এ সেবা গ্রহণ করে থাকে। ধীরে ধীরে এ সেবার প্রসার বাড়ছে। তাই হেলিকপ্টার সেবার ওপরে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করছি।’
এছাড়া, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে সরকারি সংস্থার বদলে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘বিমানে আমরা যথেষ্ট বিনিয়োগ করে চলেছি। কিন্তু বিমান এখনও তেমন ভালো সেবাদানে সক্ষম হয়ে উঠতে পারেন। বিমানকে সরকারি সংস্থার বদলে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার উদ্যোগটি আমার মনে হয় এ প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য।’
মন্ত্রী আরও বলেন,‘২০১৯ সালের মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ সংগ্রহ ও দুটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি ৷’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপদ বেসামরিক বিমান চলাচল, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা ও সেবা সুবিধা বাড়ানোর কাজ অব্যাহত রেখেছি। পিপিপি’র আওতায় খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজও প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।’
বাজেটে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে মোট ৫৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র সরকারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। সে সময় বিমান বাংলাদেশের জন্য ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। ইতোমধ্যে ছয়টি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে বিমানের বহরে। বাকি চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ ২০১৯ সালের মধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হবে।