সংসদ, সংবিধান ও রাষ্ট্র নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিলে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে আইন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কথা বলেন।
সংসদ ভবনে কমিটির এই বৈঠক হয়। এরপর সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বৈঠকে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবিত এই আইনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে এই বিধান রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। সরকার যদি বিবেচনা করে যেকোনো এনজিও সংসদ, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে অশালীন বা অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে সংসদ সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হয়। টিআইবির পার্লামেন্ট ওয়াচ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংসদ পুতুল নাচের নাট্যশালা।
এ বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, এনজিওগুলোর এমন অবস্থা যে-আমার ঘরের ছাও, আমারে খাইতে চাও। তারা সরকার ও রাষ্ট্রের সমান্তরাল হয়ে উঠছে। এই অধিকার তাদের নেই। তাদের কাজ সেবামূলক কাজ করা। নির্বাচন নিয়ে কথা থাকতেই পারে। সে বিষয়ে রাজনৈতিক দল কথা বলবে। এর মধ্যে এনজিও কেন? ইফতেখারুজ্জামান কিছু কথা বলেছেন, যা অগ্রহণযোগ্য ও অবমাননাকর। সংসদকে পাপেট শো বলেছে। তুমি কে হে? তুমি এনজিও। বাইরের টাকা আন। তিনি যে কথা বলেছেন, তা ফিলদি (নোংরা)।
টিআইবি সীমা লঙ্ঘন করেছে মন্তব্য করে সুরঞ্জিত বলেন, আমাদের অবস্থান এনজিওর বিরুদ্ধে নয়। অন্য এনজিওদের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের বলতে হবে ইফতেখারুজ্জামান তাদের মুখপাত্র কি না। যদি তারা ‘হ্যাঁ’ বলে, তাহলে একরকম, না হলে অন্যরকম। তিন দিনের মধ্যে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আইন অনুযায়ী…. তাঁকে লাইসেন্স…ইচ্ছামতো কথা বলার অবাধ লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। সেটা পলিটিক্যাল পার্টিকে দেওয়া আছে। টিআইবি সামাজিক, আইনি, সাংবিধানিক সকল সীমা লঙ্ঘন করেছে। আজ আওয়ামী লীগ আছে, কাল বিএনপি আসতে পারে, পরশু জাতীয় পার্টি আসতে পারে। উনি কে?
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুল হক, আবদুল মজিদ খান, তালুকদার মো. ইউনুস, জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম বৈঠকে অংশ নেন।
















 
                                     
                                     
                                     
                                    








