Ajker Digonto
বৃহস্পতিবার , ৭ জুন ২০১৮ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

বাজেটের নামে জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করছে সরকার : মঈন খান

প্রতিবেদক
Staff Reporter
জুন ৭, ২০১৮ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমি বাজেট সম্বন্ধে বিস্তারিত বলতে চাই না। আগে বাজেট পেশ করা হোক। তারপর আমরা প্রয়োজনে রি-অ্যাকশন দেবো। তার চুলচেরা বিশ্লেষণ আমরা করবো। আমি শুধু এইটুকু সংক্ষেপে বলতে চাই, আজকে যে সরকার বাজেট দিচ্ছে সেই সরকারের বাজেট দেওয়ার কোনও এখতিয়ার নাই।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য ঘোষিত বিভিন্ন থানা কমিটির নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, বাজেট নামে এ সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করছে। ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্টকে তারা ১০০০ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট বানিয়ে লুটপাট করছে। বাজেটে আকার দিয়ে কিছু বোঝা যায় না। বাজেটের আকার বাজেটের মান সম্বন্ধে কিছু বলে না। বাজেটের মান অত্যন্ত নিম্ন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু প্রজেক্ট প্রথম শুরু হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে। সেই প্রজেক্ট আজ ৩৫ হাজার কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। আমরা বলেছি, এই প্রজেক্ট শেষ হতে হতে পদ্মা সেতুর বাজেট ৫০ হাজার কোটি টাকা হলেও আমরা অবাক হবো না। এতেই প্রমাণিত হয় বাজেটের কোয়ালিটি কী। বাজেট ফুলে ফেঁপে বড় হয়েছে। এটা বাজেটের জন্য গৌরবময় কোনও বিষয় নয়। সাইজ দিয়ে কোনও বাজেটের কোয়ালিটি নির্ধারিত হয় না। আমি বলতে চাই, এই বাজেট জনগণকে শোষণ করছে। এই বাজেট একটি ভুয়া বাজেট। এই বাজেট দিয়ে কখনও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ হবে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনারা আমার সঙ্গে চলুন গ্রামেগঞ্জে চলুন। প্রতিটি রাস্তা, হাট, বাজার, স্কুল, কলেজের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন। আপনারা বলছেন আমাদের সময় বাজেটের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। আজকে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করবো, ৪ লাখ হাজার কোটি টাকা কার পকেটে যাচ্ছে। আজকে এই সরকারের কার্যক্রমের কারণে জনগণ এই প্রশ্ন করতে পারে না। আগামীতে যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং জবাবদিহিমূলক সরকার আসে, সেই সময় একটি জবাবদিহিমূলক পার্লামেন্ট যদি আমরা সৃষ্টি করতে পারি সেখানে প্রশ্নগুলো তুলব। সরকারের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের পকেটের টাকা কার পকেটে যাচ্ছে এটা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
সম্প্রতি সরকার বিএনপির ওপর আরও নির্যাতন, নিপীড়ন শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন মঈন খান। তিনি বলেন, থানায় বা ওয়ার্ডে মিটিয়ে আমরা ২০ বা ৫০ জন লোক একত্রিত হতে পারি না। সরকারের পুলিশ বাহিনী, রক্ষীবাহিনী ও বিভিন্ন প্রশাসনের যন্ত্র আমাদের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজ করতে দিচ্ছে না। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা নিজেরা বসে আলোচনার মাধ্যমে এই কমিটিগুলো গঠন করেছি। কাজেই আজকে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত আপনাদের বুঝতে হবে। এখন বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যতদূর সম্ভব শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বলীয়ান হয়ে রাজনীতিতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের জন্য সরকারকে ন্যূনতম স্পেস হলেও দিতে হবে। সরকার নিজেদের একটি রাজনৈতিক দলের সরকার বলে দাবি করে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তারা জনগণের সরকার নয়। এমনকি আওয়ামী লীগের সরকারও নয়। এখন দেশে প্রশাসনের সরকার। পুলিশ, বিজিবির সরকার চলছে দেশে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম সামছুল হকসহ বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ - অন্যান্য