Ajker Digonto
শুক্রবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ | ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অর্থনীতি
  4. আইন- আদালত
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আলোচিত মামলা
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চট্টগ্রাম বিভাগ
  13. জাতীয়
  14. ঢাকা
  15. তথ্য প্রযুক্তি

বেড়েছে বাজেট বাস্তবায়ন চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি

প্রতিবেদক
আজকের দিগন্ত ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৪, ২০২১ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে ধীরে ধীরে চাঙ্গা হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বেড়েছে বাজেট বাস্তবায়ন হার।

তুলনামূলক কম ঋণ নিয়েছে সঞ্চয়পত্র থেকে। তবে একই সময়ে বিদেশি ঋণের প্রাপ্যতাও কমেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট ভারসাম্য ও অর্থায়নসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সংশ্লিষ্টদের মতে, বছরের শুরুতে সরকারের টাকা খরচ অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ার কারণেই অর্থনীতিতে যে গতি ফিরছে, তারই ইঙ্গিত বহন করছে।

চলতি অর্থবছরে জিডিপির (গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট বা মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য কয়েকটি নিয়ামক উল্লেখ করা হয়েছে অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, রাজস্ব আদায় গতি বাড়ছে। এডিপি বাস্তবায়ন হারও ভালো।

আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। তবে ওমিক্রনের কারণে ইউরোপের পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হলেও আমদানি ও রপ্তানি বাজার চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা ভালো। ফলে প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে। বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ বৃহস্পতিবার বলেন, চলতি বাজেট বাস্তবায়নের সূচকে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে এটি অর্থনীতির জন্য ভালো। কারণ বছরের শেষ দিকে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এবার শুরুতে বেড়েছে। আবার রাজস্ব আদায়ও ভালো। যে কারণে সরকার টাকা খরচের অঙ্ক বাড়াতে পারছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ে। যে কোনো মূল্যে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। দেশে অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছেন।

যাদের কোনো সঞ্চয় নেই। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলে চরম দুর্ভোগে তারা পড়বেন। তিনি আরও বলেন, সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে সীমারেখা দেওয়ায় ও সুদ হার কমানোর কারণে মানুষ আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। সেখানে তারল্যও বেড়েছে। যে কারণে ব্যাংক থেকে বেশি ধার করা হচ্ছে।

সূত্রমতে, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাজেট থেকে টাকা খরচ করা হয় ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে ব্যয় হয় ১ লাখ ২৪ হাজার ১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ সময় খরচ বেড়েছে ৮ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।

এদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরায় রাজস্ব খাতেও আদায় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত ৫ মাসে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে খরচ ভালো হচ্ছে। পুরোদমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির কারণে এডিপিতে বেশি টাকা ব্যয় করতে পারছে সরকার। জুলাই-নভেম্বর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় হয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা গত বছরে একই সময়ে ৩৮ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা এডিপির ব্যয় হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে মন্ত্রণালয়গুলো ৭৫ শতাংশ এডিপির অর্থ ব্যয় করার অনুমতি ছিল। বাকি ২৫ শতাংশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এডিপির শতভাগ অর্থ ব্যয় করতে পারছে। যে কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি ও ব্যয় দুটো বেড়েছে।

এ বছর বাজেট ঘাটতি বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। এর মূল কারণ করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা খাত, টিকা ক্রয়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যয় অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় আয় বা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা খুব বেশি বাড়েনি। ফলে ৬ দশমিক ১ শতাংশের বড় ধরনের ঘাটতি নিয়ে বাজেট ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১২ হাজার ২০৭ কোটি টাকা।

এই ঘাটতি মেটাতে এখন সবচেয়ে বেশি ঋণ করা হচ্ছে ব্যাংকিং খাত থেকে। গত বছর এ সময় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয় ১২ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। অথচ এ বছর সেটি ১৯ হাজার ৭৬২ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। ঋণ নেওয়া অপর খাত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকার। যা গত বছর নেওয়া হয়েছিল ১৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বছরের শুরুতে ঋণের বিপরীতে সরকার ৬৮ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা সুদ বাবদ পরিশোধের জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন ঋণের সুদ খাতের ব্যয় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে চিন্তিত অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে সুদ ব্যয় কমাতে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাত থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ বিভাগ। কারণ সঞ্চয়পত্র থেকে কম সুদ হার ব্যাংক ঋণে। এদিকে বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্যতা কমেছে। করোনার কারণে অনেক দেশ আগের মতো ঋণ সহায়তা দিচ্ছে না। কারণ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি দেশ নিজস্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত। যে কারণে বৈদেশিক ঋণ কম পাওয়া যাচ্ছে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ হলো ১ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

চলতি বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও এটি শেষ পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ শতাংশে উঠতে পারে-এমন আশঙ্কা করছে অর্থ বিভাগ।

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের

অচিরেই নির্বাচনি রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ: তারেক রহমান

প্রতিবন্ধীদের জন্য মর্যাদার পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি তারেকের

সরকার রাজনীতি ও বিরাজনীতির মাঝামাঝি অবস্থানে: রিজভী

কথা বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল

সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে

দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন

জুলাই বিপ্লব ইতিহাসের ইতিবাচক পরিবর্তন: ডা. শফিকুর রহমান

ত্বকের প্রদাহ দূর করার উপায়

আইরিশদের মুখোমুখি হওয়ার আগে সুখবর পেলেন সাকিব

পদ্মা সেতুর নাম পরিবর্তন হবে না: প্রধানমন্ত্রী

চিন্ময়ের ‘উগ্র’ অনুসারীদের থামাতে সরকারের প্রতি আহ্বান আহমাদুল্লাহর

অর্থ খরচ করে বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষক আনবে না সরকার

হাটহাজারীতে উপজেলা যুবদলের  সমাবেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকরের দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান

হাটহাজারীতে উপজেলা যুবদলের সমাবেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকরের দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান

বিএনপি-আওয়ামী লীগ মুখোমুখি : মাগুরা শহর অশান্ত, জনমনে আতঙ্ক, ককটেল বিস্ফোরণ

বিএনপি-আওয়ামী লীগ মুখোমুখি : মাগুরা শহর অশান্ত, জনমনে আতঙ্ক, ককটেল বিস্ফোরণ

পদ্মা সেতুতে পুতুলের সেলফিতে প্রধানমন্ত্রী ও জয়

পদ্মা সেতুতে পুতুলের সেলফিতে প্রধানমন্ত্রী ও জয়

নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র